ক্যাম্পাস

“জুলাই জাগরণে” স্মরণ সভাঅনুষ্ঠিত

               

  প্রতিনিধি ১ আগস্ট ২০২৫ , ৬:২৩:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

জুলাই আন্দোলনে সকল যোদ্ধা ও হতাহতের স্মরণে এক স্মরণ সভার আয়োজন করে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। ৩০ জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে জুম প্লাটফর্মে “জুলাই জাগরণে” নামক অনলাইন স্মরণ সভায় বক্তারা শহীদদের আত্মত্যাগের প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যতে এর প্রতিফলণ যথাযথ ভাবে জাতীয় জীবনে প্রতিফলিত হয়, সেই বিষয়ে আলোচনা করেন।

গ্রিন এ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির সঞ্চালনা ও সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন (বিএন) শেখ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, জুলাইয়ের আন্দোলন কার্যত একক কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, এটি একটি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। এ ব্যবস্থার বৈষম্যের বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রকাঠামোকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর। জুলাইয়ের এই চেতনা কোনোভাবেই নষ্ট করা যাবে না, বরং তার স্পিরিট ধরে রাখতে হবে। এমনটাই তিনি তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন। বিষেশ করে তিনি তার বক্তব্যে জুলাই আন্দোলোনে গ্রিন ইউনিভার্সিটি ও গ্রিন ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন’র ভূমিকা তুলে ধরে বলেন গ্রিন ইউনিভার্সিটিই প্রথম কোন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সহাতার জন্য একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছিল। যাতে করে শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক নানাভাবে সহযোগিতা করা যায়। গ্রিন ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ও শিক্ষকদের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় পাঁচ তারিখের পূর্বে প্রায় সকল ছাত্রদের নিরাপদে জেল থেকে মুক্ত করা হয়। জুলাই শহীদরা গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন করেছিলেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধ, গোলাম নাফিজের কথা স্মরন করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ মিরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খাইরুল আলম প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া সম্পাদক রিয়াজ মাহমুদ মিঠু, সদস্য আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রায়হানুল ইসলাম, মেজর (অব.) প্রকৌশলী মোঃ রিপুনুজ্জামান, সাজিব রায়হানসহ আরো অনেকে। তারা বলেন, ‘জুলাই শহীদরা তাঁদের রক্ত দিয়ে প্রমাণ করেছেন গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়ানো কোনো ব্যক্তিগত সংগ্রাম নয়, বরং তা একটি জাতির অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। তাঁদের আত্মত্যাগ কেবল অতীতের কোনো স্মৃতি নয়, বরং বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য এক গভীর দায়বোধের নাম। তাঁরা আমাদের দেখিয়েছেন কীভাবে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের মুখেও সত্য ও মানবিক মূল্যবোধকে ধারণ করতে হয়। এই আত্মদানের ইতিহাসই আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে অনন্ত প্রেরণার উৎসহয়ে থাকবে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ মিরাজ বলে, “আন্দোলনের দিনগুলোতে আমরা নিজেদের প্রয়োজনে একত্রিত হয়েছি। আমি ও সভাপতি সাহেবের মধ্যে নানা বিষয়ে কথা বলার মধ্যেই আমরা তখনই আইনী সহায়তা দেওয়ার জন্য একটি টিম গঠন করি। প্রায় শতাধীক আইনজীবি এই প্যানেলে ছিলেন। জুলাই আন্দোলনে যারা আইনী সমস্যায় পড়েছেন, তাদেরকে সকল ধরনের আইনী সহায়তা দিয়েছি।”

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ইতিহাসের অংশ হতে পেরে আমরা গর্ব অনুভব করছি। জুলাই আন্দোলন যেনো কোন ভাবেই বিফল না হয়, সে জন্য প্রত্যেকের দায় ও দায়িত্ব রয়েছে। আজ আমরা ছোট করে শুরু করলেও পরবর্তীতে বড় করে এই দিবসগুলো উৎযাপন করব। জুলাই আন্দোলনের সকলের প্রতি গভীর শোক ও আহতের সুস্থ্যতা কামনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।

আরও খবর

Sponsered content