আর্ন্তজাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্তে চিন্তিত ভারত

               

  প্রতিনিধি ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৬:৪৭:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্তে চিন্তিত ভারত। দেশটি বলছে, দেশটিতে দক্ষ কর্মী ভিসা (এইচ-১বি) আবেদনকারীদের জন্য নতুন ১ লাখ মার্কিন ডলার ফি আরোপ “মানবিক পরিণতি” বয়ে আনতে পারে।

মূলত মার্কিন এই কর্মী ভিসার প্রধান সুবিধাভোগীই ভারতীয়রা। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত শুক্রবার নির্দেশ দেন, বর্তমানে নেওয়া ফি-এর তুলনায় ৬০ গুণ বেশি এ পরিমাণ ফি ২১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে। এই কর্মী ভিসার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী ভারতীয়রা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে জারি হওয়া এই ভিসার ৭০ শতাংশই ভারতীয়দের হাতে যায়।

এমন অবস্থায় বড় মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো কর্মীদের সতর্ক করেছে, এইচ-১বি ভিসাধারীরা যেন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থাকলে দ্রুত দেশে ফেরেন অথবা থাকলে বাইরে না যান। তবে শনিবার হোয়াইট হাউস স্পষ্ট করেছে, এই ফি বর্তমান ভিসা বা নবায়ন আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

শনিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, নতুন ফি পরিবারগুলোর মধ্যে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে এবং এর ফলে মানবিক পরিণতি দেখা দিতে পারে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই সমস্যাগুলো যুক্তরাষ্ট্র উপযুক্তভাবে সমাধান করবে বলেই ভারত আশা করে।

ভারত জোর দিয়ে বলেছে, দক্ষ কর্মী বিনিময় দুই দেশের জন্যই “অসাধারণ অবদান” রেখেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, উভয়ের পারস্পরিক সুবিধা এবং জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে নীতিনির্ধারকেরা সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো পর্যালোচনা করবেন। তবে ভারতের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।

রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওপর শুল্ক আরোপ করার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। যুক্তরাষ্ট্র ২০২৪ সালে ভারতে ৪১.৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, আর আমদানি করেছে তার দ্বিগুণেরও বেশি— ৮৭.৩ বিলিয়ন ডলারের।

বাণিজ্য আলোচনার জন্য ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল সোমবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স। ভারতের প্রধান বাণিজ্য সংগঠন ন্যাসকম বলেছে, এত অল্প সময়ে এত বড় পরিবর্তন আনার ফলে বিশ্বজুড়ে ব্যবসা, পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের জন্য “চরম অনিশ্চয়তা” তৈরি হয়েছে।

হোয়াইট হাউস দাবি করেছে, ভিসাগুলো যথাযথভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না, কিছু ক্ষেত্রে এগুলো “অপব্যবহার” করে মার্কিন মজুরি কমানো এবং আইটি চাকরি আউটসোর্স করা হচ্ছে। তবে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, “জাতীয় স্বার্থে” হলে কেসভিত্তিক ছাড় দেওয়া যেতে পারে।

এইচ-১বি ভিসা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে সাময়িকভাবে বিশেষায়িত দক্ষতা সম্পন্ন বিদেশি কর্মী নিয়োগের সুযোগ দেয়। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় চার লাখ ভিসা অনুমোদন করেছে, যার মধ্যে দুই লাখ ৬০ হাজার ভিসাই ছিল নবায়ন।

আরও খবর

Sponsered content