জেলার খবর

জেলা প্রশাসকের আন্তরিকতায় নড়াইলে দ্রুতই জুলাই আহতরা পাচ্ছেন ক্ষতিপূরণ ও স্বাস্থ্যকার্ড

               

  প্রতিনিধি ১৭ আগস্ট ২০২৫ , ৫:৪১:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

 

ইকবাল হাসান, নড়াইল প্রতিনিধি :

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে নড়াইল জেলায় ও জেলার বাইরে আন্দোলন করতে গিয়ে এ জেলার মোট ৬৬ জন আহত ও দুইজন শহিদ হন। শহিদ  দু’জন হলেন, সালাউদ্দিন সুমন ও রবিউল ইসলাম লিমন। ইতিমধ্যে তাদের নাম সরকারি গেজেটভুক্ত হয়েছে।

সরকার নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী তাদের প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ বুঝিয়ে দিতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান। এরইমধ্যে জেলা প্রশাসকের আন্তরিক প্রচেষ্টায়  শহিদ পরিবার ও আহতদের প্রণোদনার একটি কিস্তি প্রদান করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আন্দোলন চলাকালে ঢাকায় প্রাণ হারানো নড়াইল জেলার বাসিন্দা শহিদ সালাউদ্দিন ও রবিউল ইসলাম লিমনের উত্তরাধিকারীদের ইতোমধ্যে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও দ্বিতীয় মেয়াদে ১০ লক্ষ টাকা সঞ্চয়পত্রের জন্য কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহিদের কবরকে সংরক্ষণের জন্য ইতোমধ্যে বাঁধাই করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, শহিদ পরিবার নগদ মোট ৩০ লাখ টাকা এবং মাসিক ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে বাকি টাকা দেওয়া হবে।

এদিকে, নড়াইলে ও নড়াইলের বাইরে জুলাই আন্দোলন করতে গিয়ে আহত হওয়া ৬৬ জন গেজেটভুক্তের মধ্যে ২৭ জনকে ১ম কিস্তিতে ১ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। বাকিদের চেক প্রদানের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

উল্লেখ্য, ক্যাটাগরি এ শ্রেণির অতি গুরুতর আহত জুলাই যোদ্ধারা এককালীন ৫ লাখ টাকা ও মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। এছাড়াও  বি ক্যাটাগরির যোদ্ধারা নগদ ৩ লাখ টাকা ও মাসিক ১৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। অন্যদিকে সি ক্যাটাগরির অল্প আহতরা নগদ ১ লাখ টাকা ও মাসিক ১০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন।

এদিকে,  নড়াইল জেলার আহতদের মধ্যে ৫২ জনকে স্বাস্থ্য কার্ড প্রদান করা হয়েছে। বাকিদের স্বাস্থ্য কার্ড প্রদান প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এসব স্বাস্থ্য কার্ড দিয়ে আহতরা আজীবন দেশের যেকোনো সরকারি হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাবেন।

এছাড়াও  জেলা পরিষদের তহবিল হতে জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান নড়াইল জেলার প্রত্যেক সহায়তার আবেদনকারী আহতকে ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করেছেন। এর বাইরেও বিভিন্ন আহতরা নানারকম সমস্যা নিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট আসলে, তিনি জেলা প্রশাসকের তহবিল থেকে সহায়তা প্রদান করেছেন।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান বলেন, আমাদের জেলা পরিষদের তহবিল থেকে আহতদের জন্য সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আমি সকল আবেদনকারী আহতকেই যাচাই-বাছাই করে এ সহায়তার অর্থ দিয়েছি। কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেইনি। এছাড়াও সরকারি যেসব সুবিধা আহতরা পাবেন, সেটাতো আমরা দিচ্ছি। নড়াইলের আহতদের সেবায় আইন ও নৈতিকতার মধ্যে থেকে যতটুকু করার, তার সর্বোচ্চটিই করে যাচ্ছি। আহতদের জন্য যদি আরও কিছু করার সুযোগ থাকে, সেটাও আমি করবো ইনশাআল্লাহ।

 

সূত্র জানায়, জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান এর আন্তরিক প্রচেষ্টায় জুলাই যোদ্ধারা অতি দ্রুত সরকারি সহযোগিতার অর্থ ও স্বাস্থ্যকার্ড পাচ্ছেন।

তবে, সূত্র জানায়, সঠিক সময়ে তথ্য প্রাপ্তির অভাবে বা জুলাই যোদ্ধা অন্তভূক্তি বিষয়ে সঠিক প্রক্রিয়া না জানায় এখনো বেশ কিছু আবেদনকারী আবেদন করতে না পারায় তালিকাভূক্তি হতে ব্যর্থ হয়েছেন ।

আরও খবর

Sponsered content