প্রতিনিধি ১৮ জুলাই ২০২৫ , ৮:৪৭:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ
ধর্ম ডেস্ক :
জুমার দিনের অনেক সওয়াব ও ফজিলত আছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনরা! জুমার দিন যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে এসো এবং বেচাকেনা বন্ধ করো, এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বুঝ। এরপর নামাজ শেষ হলে জমিনে ছড়িয়ে পড়ো, আল্লাহর অনুগ্রহ (জীবিকা) তালাশ করো এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা জুমা, আয়াত : ৯-১০)
বিভিন্ন হাদিসে জুমার দিনের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। এক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে—
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, সূর্য উদিত হয় এমন সকল দিনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হল জুমার দিন। এই দিনেই আদম (আলাইহিস সালাম)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এদিনেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়। এই দিনেই তাকে তা থেকে বের করা হয়। আর এই জুমার দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে। (সহিহ আবু দাউদ, হাদিস : ৯৬১)
জুমার দিন গোসল করে তাড়াতাড়ি মসজিদে যাওয়া সুন্নত। অনেকে জানতে চান জুমার দিন গোসল করার নির্দিষ্ট কোনো সময় আছে কি না? এমন একজন প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন—
আমি জেনেছি, জুমার দিন গোসল করা সুন্নত, এখন এর জন্য নির্ধারিত কোনো সময় আছে কি? যদি কেউ দিনের শুরুতে গোসল করে থাকে তাহলে তাতে কি জুমার জন্য গোসলের সুন্নত আদায় হবে না? নাকি পুনরায় গোসল করতে হবে?
এ বিষয়ে ইসলামী আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদেরা বলেন, জুমার দিন জুমার নামাজের প্রস্তুতি হিসেবে গোসল করা সুন্নত। জুমার প্রস্তুতি হিসেবে এমন সময় গোসল করা উত্তম যেন সেই অজু-গোসল দিয়ে নামায আদায় করা সম্ভব হয়। অবশ্য বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী জুমার নিয়তে দিনের প্রথম ভাগে গোসল করলেও এর মাধ্যমে সেই সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে পুনরায় গোসল করার প্রয়োজন হবে না।
এক হাদিসে হজরত আউস ইবনে আউস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি—
যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করবে (জুমার নামাজের পূর্বে স্ত্রী-সহবাস করে তাকেও গোসল করাবে) এবং নিজেও গোসল করবে অথবা উত্তমরূপে গোসল করবে। এরপর ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে আসবে, আসার সময় হেঁটে আসবে, কোনো বাহনে চড়বে না, ইমামের কাছাকাছি বসবে, এরপর দুটি খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং (খুতবার সময়) কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না, সে মসজিদে আসার প্রতিটি পদক্ষেপে এক বছর নফল রোজা ও এক বছর নফল নামাজের সওয়াব পাবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৫)