প্রতিনিধি ৪ আগস্ট ২০২৫ , ৬:১৫:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ডামাডোল বাজতে শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) এরই মধ্যে তাদের সিংহভাগ প্রস্তুতি শেষ করেছে। দেশবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ভোটের চূড়ান্ত তারিখ জানার জন্য। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই, বিশেষ করে ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হতে পারে বহুল প্রতীক্ষিত এ নির্বাচন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মোটাদাগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যে থাকে মূলত ছবিসহ একটি স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরি, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্র্নিধারণ, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন দেওয়ার মতো কাজগুলো। এর মধ্যে ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্র্নিধারণের কাজগুলো শেষ হয়েছে। নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের কাজ শেষ হবে আগস্টে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত খসড়া প্রস্তুত হয়েছে। সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক ও ভোটকেন্দ্র নীতিমালা চূড়ান্ত হয়েছে। ভোটের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা শেষ হবে সেপ্টেম্বরে। ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ভোটের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণসহ বেশ কিছু কাজ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই শেষ করতে হয় নির্বাচন কমিশনকে।
ইসি জানিয়েছে, আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন সম্পন্ন করার ব্যাপারে সরকারের ইতিবাচক মনোভাব থাকায় সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। ফলে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায় কমিশন। ফেব্রুয়ারির শুরুতে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ৬০ দিনের মতো সময় হাতে রেখে তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন কমিশন একদিকে নিজেদের প্রস্তুতি পুরোদমে সারছে, অন্যদিকে সরকারের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায়।
তারা বলছেন, ফেব্রুয়ারি মাসের দুটি তারিখ ৫ ও ১২ সামনে রেখে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন। তবে সবচেয়ে বেশি যে তারিখ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তা হলো ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার)।
কমিশন মনে করে, এবার ব্যাপক হারে মানুষ ভোট দেবে। এজন্য ভোটের পর দুদিন ছুটি রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ফলে সপ্তাহের শেষদিন ভোটগ্রহণ করতে চায় ইসি।
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার নব্বইনিউজকে বলেন, ‘দ্রুত সময়েই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত তারিখের বিষয়ে জানতে পারবে দেশবাসী। জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্র করে অনেক কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। কিছু কাজ বাকি, যা তফসিল ঘোষণার পরই সম্পূর্ণ করতে হয়। তফসিলের সময় হাতে প্রায় তিন মাস সময় থাকে। এই সময়ও অনেক কাজ সম্পূর্ণ করে ইসি।’