জাতীয়

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

               

  প্রতিনিধি ১৭ আগস্ট ২০২৫ , ৬:৫০:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিদেশি কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের ব্রিফ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। রোববার (১৭ আগস্ট) সকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান তাদের ব্রিফ করেন।

ব্রিফিংয়ে ঢাকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন, সিঙ্গাপুর তুরস্ক, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, কাতার, সৌদি আরবসহ মোট ৫০টিরও বেশি মিশনের কূটনীতিকরা অংশ নেন।

সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চারটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। জাতিসংঘ, কাতার ও বাংলাদেশের উদ্যোগে অনুষ্ঠেয় এসব সম্মেলন সম্পর্কে জানাতেই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, আগামী ২৫ আগস্ট কক্সবাজারে ‘অংশীজন সংলাপ: রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে আলোচনার জন্য প্রাপ্ত বার্তা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ফাঁকে অনুষ্ঠিত হবে রোহিঙ্গাবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন। আর কাতারের দোহায় ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে রোহিঙ্গাবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন।

রোহিঙ্গা ঢলের আট বছর পূর্তির দিন ২৫ আগস্ট কক্সবাজারে অনুষ্ঠেয় ওই সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে পারেন।

সম্মেলনে কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, রোহিঙ্গাবিষয়ক কয়েকজন আন্তর্জাতিক দূত, বিদেশে বাংলাদেশ মিশন এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

কক্সবাজারের শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা এবং বিশ্বের কয়েকটি দেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরাও এই সম্মেলনে অংশ নেবেন।

২৪ থেকে ২৬ আগস্ট এই তিন দিন আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং শরণার্থীশিবির প্রদর্শনী থাকবে ওই আয়োজনে। ২৪ ও ২৫ আগস্ট পাঁচটি কর্ম অধিবেশন থাকছে।

এসব কর্ম অধিবেশনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা বাড়ানো, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মাঝে আশার সঞ্চার, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান।

মূলত এই বিষয়গুলোকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সরকারের সবশেষ উদ্যোগের বিষয়ে আজ রোববার বিদেশি মিশন প্রধানদের অবহিত করলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের ঢল শুরু হয় বাংলাদেশে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের প্রায় আট বছর পেরিয়ে গেছে।

বৈশ্বিক নানা ঘটনাপ্রবাহ এবং মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের পর রোহিঙ্গা সংকট আন্তর্জাতিক মনোযোগও হারিয়েছে। কয়েক বছর ধরে অব্যাহতভাবে কমেছে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে এখন বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৪ লাখের বেশি।

আরও খবর

Sponsered content