প্রতিনিধি ৩ আগস্ট ২০২৫ , ৬:২১:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা: বর্তমান সময়ের ব্যবসায়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন যুগোপযোগী করা ও সময়োপযোগী সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই মিলনায়তনে আয়োজিত ‘পরিচালনা পর্ষদ সভা ও বার্ষিক সাধারণ সভার গুরুত্ব এবং লিমিটেড কোম্পানির কমপ্লায়েন্স’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব কথা জানানো হয়।
কর্মশালার প্রধান অতিথি ছিলেন যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি)-এর রেজিস্ট্রার এ. কে. এম. নুরুন্নবী কবির। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেলিম রেজা, এফসিএ (পার্টনার, আর্টিসান চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস) এবং মোহাম্মদ সানাউল্লাহ (সিইও, মোহাম্মদ সানাউল্লাহ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস)।
প্রবন্ধে বলা হয়, সব ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে আইন ও বিধিনিষেধ মেনে চলা আবশ্যক। বিশ্বায়নের যুগে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করতে হলে ব্যবসায় নিয়ম-নীতি (কমপ্লায়েন্স) প্রতিপালনের কোনো বিকল্প নেই। নিয়ম মেনে চললে অনিয়ম ও অপব্যবহার রোধ করা সহজ হয়। সেই সঙ্গে বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন সংস্কার ও আধুনিকীকরণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরজেএসসির রেজিস্ট্রার নুরুন্নবী কবির বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় পৌনে তিন লাখ কোম্পানি নিবন্ধিত রয়েছে। নিবন্ধনের প্রায় সব প্রক্রিয়া অনলাইনে হয়ে থাকে। শুধু শেয়ার ট্রান্সফার এখনো অনলাইন হয়নি, তবে এটিও দ্রুত ডিজিটাল কার্যক্রমের আওতায় আসছে।
তিনি আরও বলেন, অনেক উদ্যোক্তা বার্ষিক সাধারণ সভা কিংবা অডিট রিপোর্ট সময়মতো না করায় আরজেএসসিতে কমপ্লায়েন্স জটিলতায় পড়েন। এতে নিবন্ধনসহ অন্যান্য সেবা পেতে বিঘ্ন ঘটে।
ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন এখন অপরিহার্য। কিন্তু অনেক উদ্যোক্তা কোম্পানি আইন ও কমপ্লায়েন্স সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না থাকায় বিভ্রান্ত হন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, কর্মশালার মাধ্যমে সদস্যরা পরিচালনা পর্ষদ সভা, বার্ষিক ও বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজন, কোম্পানি আইন অনুযায়ী নিয়ম-নীতি প্রতিপালন এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারে বাস্তবভিত্তিক জ্ঞান লাভ করবেন।
কর্মশালায় ডিসিসিআইয়ের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর ১০০-এর বেশি প্রতিনিধি অংশ নেন।
এছাড়াও ডিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মানসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।