প্রতিনিধি ২ আগস্ট ২০২৫ , ৬:১২:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ
জহুরুল হক মিলু, নড়াইল প্রতিনিধি :
নড়াইলের লোহাগড়ায় সৈয়দ মাসুম বিল্লাহ (২০) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবারের দাবি এটি পরিকল্পিত হত্যা, এদিকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন এটি সড়ক দুর্ঘটনা।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টায় গোপালগঞ্জ ও নড়াইল সীমান্তবর্তী কাশিয়ানী এলাকার মধুমতি সেতু থেকে অচেতন অবস্থায় এক ইজিবাইক চালক মাসুমকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে ঢাকা নেওয়ার প্রস্তুতিকালে বেলা ২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
সৈয়দ মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলাম এর ছেলে। তিনি জাহাজে কর্মরত ছিলেন।
স্বজনরা জানান, লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের সরশুনা গ্রামের শিমুল সরদারের মেয়ে সাথী খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো মাসুমের। কিন্তু হঠাৎ সাথীর অন্যত্র বিয়ের খবর শুনে মাসুম ঢাকায় কর্মস্থল থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। শুক্রবার সকালে লোহাগড়ার একটি বিউটি পার্লারে তারা দেখা করেন। সেখানে সাথীর পরিবারের সদস্যরা মাসুমের উপস্থিতি মেনে নিতে না পেরে তাকে হুমকি দেন বলে অভিযোগ মাসুমের পরিবারের। এরপর বেলা সাড়ে ১১ টায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মধুমতি সেতুতে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। সেখান থেকে এক ইজিবাইক চালক তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার নেয়ার প্রস্তুতিকালে বেলা ২ টার দিকে সে মারা যায়। মৃত্যুর খবর পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
মৃত মাসুমের পরিবারের দাবি, এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং সাথীর পরিবারের সদস্যরাই মাসুমকে হত্যার পরিকল্পনা করে তাকে মেরে ফেলেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাসুম এর প্রেমিকা সাথী খাতুন বা তার পরিবারের সদস্য কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
লোহাগড়া থানার ওসি মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি দুর্ঘটনায় নিহত হন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে।